দখিনের সময় ডেক্স:
ভোলায় মধ্যস্বত্বভোগী দালাল আর বাজার সিন্ডিকেটের কারণে তরমুজ উৎপাদন করে দাম পাচ্ছেন না চাষীরা। একইভাবে ওই তরমুজ খুচরা বাজারে উচ্চদামের কারণে সাধারণ মানুষের পক্ষে কেনা সম্ভব হচ্ছে না। ক্ষেত থেকে বাজার পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করছেন একটি সিন্ডিকেট। এরাই ক্ষেত থেকে পানির দরে তরমুজ কিনে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন।
গত বৃহস্পতিবার ভোলার কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক আবু মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ জানান, জেলায় এ বছর ৫ হাজার ৫৫৬ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ৫৫ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। এমন বাম্পার ফলনের কারণে এবার ৩ লাখ ৫ হাজার ৫৮০ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হয়। এতে কৃষক খুবই খুশি হয়। কিন্তু বর্তমানে বাজারে অতি উচ্চদামে তরমুজ বিক্রি হলেও ওই দাম মাঠের কৃষকরা পাননি।
মাঝের চরের শাহাবুদ্দিন ফরাজি ২৫ একর জমিতে ১২ লাখ টাকা ব্যয় করে তরমুজ চাষ করেন। তিনি ঢাকা নিয়ে বিক্রি করায় দ্বিগুণ লাভ করেন। কিন্তু বেশিরভাগ কৃষক এবার ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করতে পারেননি। লকডাউনের কারণে অনেকেই ক্ষেতেই দালালদের কাছে পানির দরে বিক্রি করে দেন।
এ বছর বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বেনজির আহমেদ জানান, তার ব্লক এলাকার মদনপুর চরে নিজাম উদ্দিন, নুর হোসেনসহ ১৫ কৃষক তরমুজ চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। কিন্তু দালালদের কারণে অনেক কম দামে তাদের এলাকায় তরমুজ বিক্রি করতে বাধ্য হন। এমনকি ভোলার বাজারেও তাদের বিক্রি করতে দেয়া হয়নি।