Home শীর্ষ খবর দেশে খাদ্য মজুদ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই, বলছে খাদ্য মন্ত্রণালয়

দেশে খাদ্য মজুদ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই, বলছে খাদ্য মন্ত্রণালয়

দখিনের সময় ডেক্স:

দেশে খাদ্যের সরকারি মজুদ এখন কমতির দিকে। বর্তমানে এর পরিমাণ নেমে এসেছে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক নিচে। বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রথম ধাক্কায় কর্মসংস্থান হারিয়েছেন অনেকে। ফলে সরকারি ত্রাণ সহযোগিতার ওপর মানুষের নির্ভরতাও অনেক বেড়েছে। এখন দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। ফলে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে, তা মোকাবিলায় সরকারি খাদ্যগুদামগুলোয় এখনই মজুদ বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে  খাদ্য মজুদ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে মনে করে খাদ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়।

এক বছর আগে গত বছরের মার্চে বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ শুরু হয়। সে সময় দেশে সরকারিভাবে খাদ্য মজুদ ছিল প্রায় ১৬ লাখ টন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এক বছর পর গত ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় খাদ্য মজুদের পরিমাণ কমে ৪ লাখ ৮৩ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে চাল ৪ লাখ ১২ হাজার টন এবং গম মাত্র ৭১ হাজার টন। অবশ্য খাদ্য অধিদপ্তর বলছে, আড়াই লাখ টন বন্দরে এসে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। দেড় লাখ টন চাল শিগগিরই দেশে আসবে। ফলে খাদ্য মজুদ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে মনে করে খাদ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়। যদিও খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটি খাদ্য মজুদ বাড়াতে অভ্যন্তরীণভাবে সংগ্রহ অভিযানের পাশাপাশি আমদানি প্রক্রিয়া আরও দ্রুত করার নির্দেশনা দিয়েছে।

গত মৌসুমে উৎপাদন ভালো হয়েছে। তবে সরকারের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান খুব একটা কার্যকর হয়নি। ফলে আমদানি নির্ভরতা বেড়েছে। এখন এপ্রিলের পরই শুরু হবে বোরো মাড়াই মৌসুম। আশা করা হচ্ছে আসন্ন মৌসুমে উৎপাদন ভালো হবে। এদিকে মজুদ বাড়াতে চাল, গমসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের আমদানিও বাড়াচ্ছে সরকার।

সরকারি বিভিন্ন সূত্র বলছে, মিল মালিক, পাইকার, কৃষক, ভোক্তাসহ বেসরকারি খাত মিলিয়ে দেশে এখনো প্রায় দেড় কোটি টন খাদ্য মজুদ রয়েছে। দেশের ১৬ কোটি মানুষের হিসাব ধরে প্রতিবছর আড়াই থেকে তিন কোটি টন খাদ্যের চাহিদা রয়েছে। আসন্ন বোরো মৌসুমে অন্তত ১ কোটি ৬০ লাখ টন চাল উৎপাদিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একইভাবে গম উৎপাদিত হবে ১৫ লাখ টন এবং ভুট্টা ৪৫ লাখ টন। ফলে খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে অযথা আতঙ্কিত কিংবা শঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সরকারসংশ্লিষ্ট সংস্থা। তবে সরকারি ব্যবস্থাপনার খাদ্য মজুদ কমে আসায় সরকারের নেওয়া টিআর, কাবিখা, কাবিটাসহ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলো বিঘিœত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে প্রতিমাসে খাদ্যের চাহিদার গড় ১৯ থেকে ২১ লাখ টন। যার প্রায় ৮০ শতাংশই অভ্যন্তরীণ উৎপাদন থেকে মেটানো হয়। খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে প্রতিবছর ৭০ লাখ টন গমের চাহিদা রয়েছে। গত বছর প্রায় ১৩ লাখ টন গম অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত হয়ে। বাকিটা আমদানি করতে হয়। এবারও ১৫ লাখ টন গম উৎপাদিত হবে বলে আশা করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

এক-তৃতীয়াংশ ইহুদি-আমেরিকান কিশোর হামাসের প্রতি সহানুভূতিশীল

দখিনের সময় ডেস্ক: এক-তৃতীয়াংশের বেশি আমেরিকান-ইহুদি কিশোর (১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী) 'আমি হামাসের সাথে সহানুভূতিসম্পন্ন'- এমন বক্তব্যের সাথে একমত। ইসরাইলের একটি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে...

প্রতিদিন কলা খাওয়ার উপকার

দখিনের সময় ডেস্ক: প্রতিদিন কলা খেলে মেলে অনেক উপকার। কলায় থাকে প্রয়োজনীয় অনেক ভিটামিন। যে কারণে চিকিৎসকেরা নিয়মিত কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন। প্রতিদিন অন্তত দুটি...

মোহিনীর প্রেমের এআর রহমানের বিচ্ছেদ, যা বলছেন পুত্র

দখিনের সময় ডেস্ক: ব্যক্তিজীবন নিয়ে সংবাদের শিরোনামে এআর রহমান। সায়রা বানুর সঙ্গে দীর্ঘ ২৯ বছরের দাম্পত্যের অবসান। বুধবার রাতে রহমানের স্ত্রী সায়রার আইনজীবী এই খবর...

স্মার্টফোনে ইন্টারনেট চলে যাচ্ছে? জেনে নিন গতি বাড়ানোর কৌশল!

দখিনের সময় ডেস্ক: অনেকেই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় হঠাৎ করেই দেখেন, নেটওয়ার্ক চলে গেছে। আশেপাশের অন্যরা নির্বিঘ্নে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারলেও আপনার ফোনেই সমস্যা...

Recent Comments