দখিনের সময় ডেস্ক:
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ও পিএমএল (এন)-এর নেতা নওয়াজ শরিফ দুজনই নিজেদের বিজয়ী দাবি করে ভাষণ দিয়েছেন। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে দুজনই বিজয়ী ভাষণ দিয়েছেন। খবর বিবিবির।
শুরুটা করেছেন অবশ্য নওয়াজ শরিফ। নির্বাচনে পিছিয়ে থেকেও নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন তিনি। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনে এককভাবে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে তার দল। তবে সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও সরকার গঠনের জন্য তা যথেষ্ট নয় জানিয়ে জোট সরকার গঠনের কথা বলেছেন তিনি।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) লাহোরে পিএমএল-এন কেন্দ্রীয় সচিবালয়ে বিজয়ী ভাষণ দেন নওয়াজ শরিফ। সেখানে তিনি বলেন, আমরা বারবার নির্বাচন করতে পারব না। পাকিস্তানকে এই সংকট থেকে বের করে আনতে সকলের একত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করা উচিত। তিনি বলেন, আমাদের দল এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে ভালো হতো। তবে তা আমরা পাইনি। এ জন্য জোট সরকার গঠনের চেষ্টা করব।
পিএমএল-এন-এর সুপ্রিমো বলেছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ সবার ম্যান্ডেটকে সম্মান করেন তিনি। এদের মধ্যে অধিকাংশ কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত। তিনি বলেন, আমরা আজ সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি এই জরাজীর্ণ পাকিস্তানকে পুনর্গঠন করতে এবং আমাদের সঙ্গে বসতে। আমাদের এজেন্ডা একটি সুখী পাকিস্তান।
বিজয়ী ভাষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই ইমরান খানও। তাকে ও তার দল পিটিআইকে নির্বাচন করতে না দেওয়া হলেও তিনি বিজয়ী ভাষণ দিয়েছেন । আর দেবেনই বা না কেন। এত এত বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও তার সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই এখনো এগিয়ে রয়েছেন। জেলে বন্দি থাকায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে বানানো এক ভিডিও বার্তা ইমরান খানের ভেরিফায়েড এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করা হয়েছে। সমর্থকদের উদ্দেশে এআই দিয়ে তৈরি বার্তায় ইমরান খান বলেন, বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে পিটিআই সমর্থকদের ব্যাপক জনসমর্থন দেখে সবাই হতবাক হয়েছে। নওয়াজ শরিফকে কোনো পাকিস্তানি গ্রহণ করবে না।
ইমরান বলেন, আমার বন্ধু পাকিস্তানিরা, আপনারা ইতিহাস তৈরি করেছেন। আমি আপনাদের জন্য গর্বিত এবং জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করি। পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, এখন কেউ আমাদের আটকাতে পারবে না। আপনারা চিন্তা করবেন না, উদযাপন করুন এবং আল্লাহর শুকরিয়া করুন। দুই বছরের নিপীড়ন ও অবিচারের পরও আমরা দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নির্বাচনে জিতেছি।