• ১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় যা করবেন

দখিনের সময়
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪, ০৮:০৫ পূর্বাহ্ণ
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় যা করবেন
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেস্ক:
বাচ্চা থেকে বুড়ো প্রায় সকলেই কোষ্ঠাকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। এই সময় যেমন ভুরিভোজও বেশ জমিয়ে হয়, তেমনই গ্যাস-অম্বলও বেশি হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পেট, কোমরে ব্যথা শুরু হয়, ব্যথা হয় মলদ্বারেও। পেট পরিষ্কার হয় না ঠিক মতো। ফলে গ্যাস লেগেই থাকে। খাওয়াদাওয়ায় কোনও রুচি থাকে না।
দীর্ঘ দিন কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে কোলন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই, সুস্থ থাকতে এই শীতে খাওয়াদাওয়া নিয়ে সকলকেরই সচেতন থাকা জরুরি।জেনে নিন, শীতকালীন কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকতে কী করবেন :
১. ভুসিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এটি প্রাকৃতিক রেচক হিসেবে কাজ করে এবং ওজনও কমাতে সাহায্য করে। এক গ্লাস পানিতে ২ থেকে ৩ চা চামচ ভুসি কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া প্রতিকার।
২. ত্রিফলা কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসায় দারুণ কার্যকর। রোজ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক চামচ ত্রিফলা চূর্ণ এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে নিন। তার পরে সেটি খেয়ে ফেলুন। সকালে পেট পরিষ্কার হয়ে যাবে।
৩. কালো কিশমিশে অদ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা মল সহজভাবে বেরোতে এবং অন্ত্রকে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। ঘুমানোর আগে চার থেকে পাঁচটি ভেজানো কালো কিশমিশ খান। পরদিন সকালেই তার রেজাল্ট পাবেন!
৪. কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে জোয়ান খেতে পারেন। জোয়ান আমাদের শরীরে গ্যাস্ট্রিক জুস উৎপাদনকে সাহায্য করে, যা হজম প্রক্রিয়ায় উন্নতি ঘটায়। আধা চা চামচ জোয়ান গরম পানিতে ভিজিয়ে পান করুন।
৫. ক্যাস্টর অয়েল কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসায় খুবই কার্যকর। ক্যাস্টর অয়েলে রয়েছে রিসিনোলিক অ্যাসিড, যা শরীর থেকে মল বর্জ্য নির্মূল করতে সহায়তা করে। ঘুমানোর আগে এক টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে কার্যকরী হতে পারে। তবে, গর্ভবতী নারী এবং ঋতুস্রাবের সময় এর ব্যবহার না করাই ভালো।
৬. গবেষণা অনুসারে, নারকেল তেলে রয়েছে মিডিয়াম-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড (গঈঋঅং), যা মলত্যাগকে উদ্দীপিত করে এবং মল নরম করতে সাহায্য করে। তাই, কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে রোজ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক টেবিল চামচ নারকেল তেল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।