দখিনের সময় ডেস্ক:
গভীর সাগরে নোঙর করা মাদার ভেসেল (বড় জাহাজ) থেকে লাইটারেজে (ছোট জাহাজ) করে না নিয়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল খালাসের জন্য সরকার সাত হাজার ১২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার অদূরে গভীর সমুদ্রে নির্মাণ করা হয় ভাসমান জেটি।
প্রকল্পটি ছয় মাস আগে উদ্বোধন করা হলেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জ্বালানি তেল পরিবহন সম্ভব হয়নি। “ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন”শীর্ষক এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছিল ভাসমান জেটি ‘সিঙ্গল পয়েন্ট মুরিং। বৃহস্পতিবার এই সিঙ্গল পয়েন্ট মুরিং থেকে পতেঙ্গায় ইস্টার্ন রিফাইনারিতে প্রথমবারের মতো সমুদ্রের তলদেশে স্থাপন করা পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল পাঠানো হবে। প্রায় ১১০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইনে ৬০ হাজার টন ডিজেল পাঠাবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। ফলে এ খাতে বছরে ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে জানিয়েছেন বিপিসির কর্মকর্তারা। জানা গেছে, জার্মানির একটি বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পানি এই প্রকল্পের কাজ করে।
প্রকল্পটির পরিচালক শরীফ হাসনাত বলেন, দীর্ঘদিন এই স্টোরেজ ট্যাংক টার্মিনালে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারিতে ডিজেল পাম্প করার পরিকল্পনা রয়েছে। কোনো ত্রুটি না হলে ৬০ হাজার টন ডিজেল পাঠানো হবে। এরপর অন্য পাইপলাইন দিয়ে ক্রুড অয়েল পরিবহন করা হবে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে। আগে বহির্নোঙরে নোঙর করা মাদার ভেসেল থেকে লাইটারেজে করে তেল পরিবহন করা হতো। এখন সেই খরচটি পুরোপুরি বেঁচে যাবে। অন্যদিকে একটি জাহাজ থেকে তেল খালাস করতে আগে ১৫ দিন সময় লাগত, এখন ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় নেমে আসবে। এতে করে প্রতিবছর সাশ্রয় হবে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা।