দখিনের সময় ডেস্ক:
ঈদযাত্রায় মৃত্যুদূত মোটরসাইকেল চলবে। দুই চাকার এই যান চলাচলে কোনো বিধিনিষেধ থাকছে না। নিজস্ব বাইকে আন্তঃজেলা রুটে চলাচল করা যাবে। এমনকি পদ্মা সেতুও পারি দেওয়া যাবে। এ সিদ্ধান্তের কারণে সড়কপথে দুর্ঘটনা বৃদ্ধির অশংকা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, সড়কপথে মোটরসাইকেল মৃত্যুদূত হিসেবে পরিচিত। বুয়েটের এক গবেষনায় দেখাগেছে, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার সবচেয়ে বেশি।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে যাত্রী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনের নেতারা বলছেন, এ সিদ্ধান্তের কারণে সড়কপথে দুর্ঘটনা বাড়তে পারে। দুর্ঘটনা এড়াতে আইন মেনে মোটরসাইকেল চলাচল নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা। আর নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, সড়কপথে মৃত্যুদূত হিসেবে পরিচিত মোটরসাইকেল। এবারের ঈদযাত্রায় এই বাহনে যাতায়াতের সুযোগ দেওয়ায় হয়ত গণপরিবহনে চাপ কিছুটা কমবে। তবে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়বে। এজন্য ঈদের আগে ও পরে অন্তত ১০ দিন সড়ক মহাসড়কে কঠোর নজরদারির পরামর্শ দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ঈদের আগে-পরে মিলিয়ে সাত দিন মহাসড়ক ও এক জেলা থেকে অন্য জেলায় মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করে সড়ক বিভাগ। মূলত সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর চিন্তা থেকেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। এই সিদ্ধান্ত কেন প্রত্যাহার হবার রহস্য কি?