এই ৬১৫৭৯ জন জনপ্রতিনিধির মাঝে মাত্র ১০/১৫জন চাল চোর, তেলচোর এতদিনে ধরা পড়েছে, অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা এই দেশের মোট জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে এই সংখ্যাটা কিন্তু খুব একটা বড় নয়। তারপরও ইতিমধ্যে ৩ জন বরখাস্ত হয়েছে। যা প্রমানকরে বাকি গুলোর বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো হয়েছে, সেসব মামলায় চুরি প্রমান হলে তাদেরও শাস্তিসহ বরখাস্ত করা হবে। সেটা দু’দিন আগে অথবা পরে। জাতির এই চরম দুঃসময়ে মানুষের পাশে সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে কাজ করছেন কিছু মহান হৃদয়ের মানুষ।
আমাদের উপলব্ধি করা উচিৎ, দেশটা গরিব। একটা এলাকায় যেখানে ৫০০ মানুষের ত্রাণ দরকার, সেখানে হয়তো সরকারি সহায়তা গেছে মাত্র ২০০ জনের জন্য। এ কারণে যারা পাচ্ছে না তাদের ক্ষোভ গিয়ে পড়ছে বিতরণ কাজে জড়িতদের ওপর। সমালোচনা মুখর হয়ে বলছেন, চুরি করেছে বলেই পাইনি। আবার এই ক্ষোভ সামাল দিতে বন্টনের দায়িত্বে যারা থাকেন তারা ২০০ জনের সাহায্য তিন অথবা চারশ’ জনের মধ্যে ভাগ করে দিচ্ছেন। এতে সরকারি বরাদ্দের অর্ধেক করে হাতে পাচ্ছেন প্রত্যেকে।
এজন্যও তাদের বিরুদ্ধে অর্ধেক পরিমান সাহায্য চুরির অভিযোগ উঠছে। এসব অভিযোগ তুলে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে সমালোচনা হচ্ছে। কিন্তু নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন, তারা সবাই কি আসলেই চুরি করছেন? আমাদের ভুললে চলবে না, বিচ্ছিন্ন এক বা দু’টি ঘটনার ফলাও প্রচার যে নেতিবাচক সামাজিক ধারণার জন্ম দিচ্ছে তার কূফল কিন্তু এই সমাজের ওপরই পড়ে। সরকারকে নাজেহাল করাই যেন লক্ষ্য না হয়। তাতে সরকারি ও বেসরকারি জনহিতকর মানবিক উদ্যোগ স্তিমিত হয়ে যায়। হিতে বিপরীত হয়। তারমানে এই নয় যে চোরের পক্ষে কথাগুলো বলছি।
চোরকে অবশ্যই চোর বলব। সুনির্দিষ্ট চুরিকে চিহ্নিত করে তার ফয়সালা কি হলো সেদিকে নজরদারি করব। কিন্তু ঢালাভাবে অপবাদ দিতে প্রচারনা নয়। বুঝতে হবে, এর মাধ্যমে আমরা কারও উপকার করছি না। তাই আসুন বিবেকবান মানুষ হিসেবে অগ্রপশ্চাৎ ভেবে আচরণ করি। আমাদের অসচেতন কোন কাজ যেন লাখো মানুষের অশ্রুপাতের কারন না হয়।