Home বিশেষ প্রতিবেদন আগৈলঝাড়ায় সরকারী খাল দখল করে দোকান নির্মানের হিড়িক

আগৈলঝাড়ায় সরকারী খাল দখল করে দোকান নির্মানের হিড়িক

শামীম আহমেদ, অতিথি প্রতিবেদক ॥
বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরকারী খাল দখল করে দোকান-ঘন নির্মানের হিড়িক পড়েছে। ফলে খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম হয়েছে।  হুমকীর মুখে পড়েছে চাষাবাদ। সূত্রমতে, ভূমি অফিসের তহশিলদারের বাধা উপেক্ষা ও কর্ণপাত না করে এসকল অবৈধ দোকান নির্মাণ  করে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে পুলিশ কর্মকর্তার ভাই পরিচয়ে এক ব্যক্তি বেপরোয়া বলে অভিযোগ উঠেছে।
আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার  ইউনিয়নের বাশাইল ব্রীজ সংলগ্ন পাকা সড়কের পাশে সরকারী খাল দখল করে দোতলা দোকান ঘর নির্মান করছেন স্থানীয় কাদের মোল্লার ছেলে বিপ্লব মোল্লা। স্থানীয়রা অভিযোগে বলেন, বিপ্লবের বড় ভাই পুলিশের একজন উর্ধতন কর্মকর্মকর্তা। এই কারণে তহশিলদার তিন তিন বার বাঁধা দিয়ে গেলেও সেই বাঁধা উপেক্ষা করে স্থানীয় প্রশাসনের লোকজনকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে খাল দখল করে দোকান ঘর নির্মান করছে।
একইভাবে রাজিহার-বাশাইল সড়কের রাজিহার কালীবাড়ি এলাকায় সরকারী খাল দখল করে দোকান নির্মান করেছেন শাখাওয়াত হোসেনের ছেলে মাসুম। মাসুম গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছে স্থানীয় মাতুব্বরদের অনুমতি নিয়ে তিনি দোকান তুলেছে।
রাজিহার ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াস তালুকদার অবৈধভাবে দোকান নির্মানের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আইনগতভাবে তিনি উচ্ছেদ করতে না পারায় বিষয়টি ইউনিয়ন তহশিলদারকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। তিনি সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের লোকজনের মদদের অভিযোগ করে এইভাবে দোকান নির্মান হলে একমাত্র খালটিতে আর পানি প্রবাহ থাকবে না। তবে ওই অবৈধ দোকানসহ ইউনিয়নের সকল অবৈধ দোকান তিনি উচ্ছেদ করবেন বলেও জানান।
রাজিহার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বাশাইল গিয়ে বিপ্লব মোল্লাকে তিন তিন বার অবৈধভাবে দোকান নির্মানে বাঁধা প্রদান করার পরেও সেই দোকান নির্মান চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি খাল দখল করে অবৈধ দোকান উচ্ছেদে রবিবার ব্যবস্থা নেবেন জানিয়ে বলেন, রাজিহার ইউনিয়নে খাল দখল করে অবৈধ শতাধিক দোকান উচ্ছেদের জন্য তালিকা অনেক আগেই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে জমা দেয়া হয়েছে।
খাল দখল করে দোকান নির্মান করা বিপ্লব মোল্লা বলেন, তিনি তার পৈত্রিক সম্পত্তিতে ভোগ দখলীয় সূত্রে আপাতত টিনের ঘর তুলছেন। ওই জায়গা তাদের গাছও লাগানো ছিল বলেও দাবি করেন তিনি।
আগৈলঝাড়া থানা অফিসার ইন চার্জ মো.আফজাল হোসেন বলেন, বিষয়টি এসিল্যান্ড অফিসের এখতিয়ারভুক্ত। তারা  সরকারী সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য পুলিশের সহযোগীতা চাইলে পুলিশ বাধা প্রদান বা অবৈধ উচ্ছেদের জন্য তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
উল্লেখ্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। উপজেলায় দীর্ঘদিন ভূমি কর্মকর্তা (এসি ল্যান্ড) পদ রয়েছে শুন্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

বরিশাল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মালেক, জসিম-হেপি ভাইস চেয়ারম্যান

দখিনের সময় ডেস্ক: বরিশাল সদর চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মালেক। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন (তালা)...

গাধার দুধের এক কেজি চিজের দাম ৭৯ হাজার টাকা

দখিনের সময় ডেস্ক: অবাক হলেও সত্যি বলকান প্রজাতির গাধার খাঁটি দুধ দিয়ে তৈরি এক কেজি চিজের দাম  ৭৯ হাজার টাকা। সার্বিয়ার সেরা চিজ প্রস্তুতকারী স্লোবোদান...

গাধা মোটেই বোকা নয়

দখিনের সময় ডেস্ক: কোনো ভুল করলে, কখনো বোকামি করলে গাধার সঙ্গে তুলনা করা হ। যেনো বোকার হদ্দ হচ্ছে গাধা। কিন্তু বাস্তবতা মোটেই তা নয়। আমরা...

সরকারি চাকরি, একাধিক পদে নেবে ৭০ জন

দখিনের সময় ডেস্ক: কর কমিশনারের কার্যালয় (কর অঞ্চল-২৩ ঢাকা) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির ছয়টি শূন্য পদে ১৩ থেকে ২০ তম গ্রেডে ৭০ জনকে নিয়োগের...

Recent Comments