দখিনের সময় ডেক্স:
সত্য হতে চলেছে দৈনিক দখিনের সময়-এর প্রতিবেদন। গত ১৫ জুন প্রকাশিত প্রতিবেদনের শীরোনাম ছিলো, ‘পরীমণি ফাঁসালেন না ফাঁসলেন! শেষতক তিনি ফাঁসলেন। জাতীয় পার্টির নেতা ও ধনবান ব্যবসায়ী নাসির মাহমুদকে ফাঁসানোর নাটক করে অবশেষে নিজেই ফেঁসেছেন নায়িকা পরীমনি। কারণ পরীমণির অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। সিসি টিভির ফুটেজসহ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের সঙ্গে গরমিল পাওয়া যাচ্ছে।
উল্টো গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাবের ঘটনায় কাঠগড়ায় এই তারকা। পুলিশ বলছে, ওইদিন ভুল তথ্য দিয়েছিলেন ঢালিউড সুন্দরী। এ অবস্থায় মধ্যরাতে গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাবে জোর করে ঢুকে মদ না দেওয়ায় ভাঙচুর, ওয়েটার ও নিরাপত্তারক্ষীকে মারধরের ঘটনায় চিত্রনায়িকা পরীমণিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অল কমিউনিটি ক্লাবে তার মাতলামিকান্ড সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে।
গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, অল-কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুরের ঘটনাটি জানার পর প্রাথমিকভাবে তদন্ত করা হয়। এতে জানা যায়, গেল ৮ জুন রাতে বন্ধুবান্ধব নিয়ে অল কমিউনিটি ক্লাবে যান পরীমণি। সদস্য না হওয়ায়, কর্মচারীদের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে পরীমণি ভাঙচুর শুরু করেন। আহত করেন বারের দুই কর্মচারীকে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যাওয়া পুলিশের দলের পক্ষ থেকে একটি জিডি করা হয়েছে। এদিকে পরীমণির বিরুদ্ধে আরও কিছু ভাঙচুরের অভিযোগ পুলিশের কাছে আসতে শুরু করেছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেছেন, ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে কর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণ ও ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছে রাজধানীর গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাব কর্তৃপক্ষ। গভীর রাতে ওই ক্লাবে গিয়ে মদ চেয়ে পরীমণির ভাঙচুরের ঘটনার বিষয়ে অভিযোগের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, বলেন, যেহেতু মামলাগুলো চলমান, মামলার বাদীকে (পরীমণি) অবশ্যই প্রয়োজনে সব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হবে।
এদিকে পুলিশের একটি সূত্র বলেছে, অল কমিউনিটি ক্লাবে ঘটনার পর ট্রিপল নাইনে ফোন দিয়ে তাকে আটকে রাখার কথা জানান পরীমণি। তবে তার সত্যতা মেলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগের পর, এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসার কথা বলেছিলেন পরীমণি। তারও সত্যতা মেলেনি। সিটিটিভি ফুটেজও বলছে, হাসপাতালের সামনে গেলেও গাড়ি থেকে নামেননি তিনি।