দখিনের সময় ডেস্ক :
১৯৮৯ সালের জয়পুরহাটের উপজেলার জিন্দারপুর ইউনিয়নের ইটাইল গ্রামের ফজলুল হকের সাত বছরের শিশু মঞ্জুরুল হক অপহৃত হয়। এ ঘটনায় মঞ্জুরুলের বাবা ফজলুল হক বাদি হয়ে কালাই থানায় একটি মামলা করেন। সেই মামলায় উপজেলার আব্দুল মালেক মন্ডলের ছেলে মো. আবদুল মতিন মন্ডলের সাত বছরের সাজা হয়েছিল। সেই সাজা ভোগের ভয়ে তিনি টানা ৩২ বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে ছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তার। গতকাল সোমবার (২১ জুন) বিকেলে তাকে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার জালশুকা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছেন জয়পুরহাটের কালাই থানা-পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কালাই থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুন উপজেলার ইটাইল গ্রামের সাত বছরের শিশু মঞ্জুরুল হক অপহৃত হয়। এ ঘটনায় মঞ্জুরুলের বাবা ফজলুল হক বাদি হয়ে কালাই থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় উপজেলার আব্দুল মালেক মন্ডলের ছেলে আবদুল মতিন মন্ডল ও একই গ্রামের ভোলা সাখিদার ছেলে সাকামুদ্দিনকে আসামি করা হয়। মামলার পর আবদুল মতিন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। একই বছর জেলা বিজ্ঞ দায়রা ও জজ আদালত দু’জনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন। সাত বছর কারাভোগের পর সাকামুদ্দিন ছাড়াও পান। তবে আবদুল মতিনের কোনো হদিস পাচ্ছিল না পুলিশ। অবশেষে তিনি গতকাল সোমবার (২২ জুন) বিকেলে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার জালশুকা গ্রাম থেকে ধরা পড়লেন।