কম কিছু নয় শ্রাবন্তীর ছেলেও!

দখিনের সময় ডেস্ক:

কথায় বলে, ‘বাপকা বেটা।’ মানে ছেলে বাপের মতো। কিন্তু ছেলে তো মায়ের মতোও হতে পারে। এমনই হয়েছে টলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি ছেলে। মা একর পর এক প্রেম করছেন। চঞ্চল কাকের এডাল সে ডালে বসার মতো বারবার বিয়ের পিঁড়িতে বসছে। স্বামী বদল করছেন অনেকটা পোশাক বদলের মতো। এ অবস্থায় যুবক ছেলে কী করবে? বসেবসে আঙ্গুল চুষবে! তাতো হয় না। সেও প্রেম করছে।

প্রেম-বিচ্ছেদ-বিবাহ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছেন শ্রাবন্তী। এর মছে চাউড় হয় প্রেম করছেন শ্রাবন্তীর ছেলে অভিমন্যু চ্যাটার্জি। প্রেমিকা দামিনি ঘোষের সঙ্গে তোলা ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে অভিমন্যু জানান, তাদের প্রেমের তিন বছর পূর্ণ হলো। দামিনি ঘোষ পেশায় একজন মডেল। তার ইনস্টাগ্রাম আকাউন্ট ঘুরে তেমনটাই জানা যায়। তিনিও অভিমন্যুর সঙ্গে তোলা ছবি শেয়ার করে তাদের প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন। তারপর বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয় সমালোচনা। অভিবাদন জানানোর পাশাপাশি অনেকের কটাক্ষের মুখে পড়েন অভিমন্যু। কিন্তু এ বিষয়ে শুরুতে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন শ্রাবন্তী। পরে ছেলের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন এই অভিনেত্রী।

শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমি জানি মেয়েটি ঝিনুকের (অভিমন্যু) বান্ধবী। এই বয়সে তো এ রকম হবেই।’ ঝিনুক বলে, ‘মানুষের নোংরা মানসিকতার জন্য আমাদের বাজে কথা শুনতে হয়। আর দিন শেষে আমি তো শ্রাবন্তীর ছেলে।’

ছেলের সঙ্গে শ্রাবন্তীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। পরস্পরের কাছে সবকিছু শেয়ার করেন তারা। আর বাস্তবতা কম দেখেননি তারা। তাই মা-ছেলে কোনো ধরনের নেতিবাচক মন্তব্যে কর্ণপাত করেন না। শ্রাবন্তীর ভাষায়—‘জীবনে যাই আসুক নিজের কাজ দিয়ে নিজের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে হয়।’

এদিকে শ্রাবন্তী নতুন প্রেমে মত্ত! তবে এ ব্যাপারে একেবারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন শ্রাবন্তী। নিজের তিন নম্বর বিয়ে ভাঙার পরেও নানা গুঞ্জনের মধ্যেও শ্রাবন্তী একেবারও হালকা মেজাজে আছেন। কোনো কিছুতেই কান দিচ্ছেন না বিয়েতে রেকর্ড সৃষ্টিকারী এই অভিনেত্রী। উল্টো গুঞ্জনের মধ্যেই নিজেকে কীভাবে শান্ত রাখা যায়, তারই চেষ্টা করে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার(২৯জুন) শ্রাবন্তী তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি লেখা পোস্ট করেছেন। যেখানে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি এখন শান্তিতেই আছেন, তার মধ্যে কোনো প্রতিশোধ স্পৃহা নেই। স্টোরিতে শ্রাবন্তী লিখলেন, ‘যে নারী প্রতিশোধের পরিবর্তে শান্তি খুঁজে নেয়, সে কখনই বিব্রত বোধ করে না’