Home জাতীয় আপিল নিষ্পত্তির আগে দুই আসামির ফাঁসি দেয়া হয়নি : আইনমন্ত্রী

আপিল নিষ্পত্তির আগে দুই আসামির ফাঁসি দেয়া হয়নি : আইনমন্ত্রী

দখিনের সময় ডেস্ক :

আপিল নিষ্পত্তির আগে যশোর কারাগারে দুই আসামির ফাঁসি কার্যকরের তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার (৪ঠা নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে সংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, যাদের মৃত্যদণ্ড কার্যকর হয়েছে তাদের বিচারিক আদালতে দেয়া ফাঁসির রায় উচ্চ আদালতেও বহাল রাখা হয়। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদনও নাকচ হয়। তারপর ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে। প্রাণ ভিক্ষার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে করা আবেদন নাকচ হওয়ার পর একবার ফাঁসি কার্যকরের তারিখ নির্ধারণ করা হলেও তা স্থগিত করা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কাউকে হয়রানি করার জন্য নয়, এটি প্রয়োগে আরও সতর্ক থাকবে সরকার। এর আগে, নিয়ম না মেনে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আপিল নিষ্পত্তির আগেই দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অভিযোগ ওঠে চুয়াডাঙ্গা কারাকর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। আইন অনুযায়ী, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মামলার কোনও পক্ষ যদি আপিল দায়ের করে সে ক্ষেত্রে তা নিষ্পত্তির জন্য অপেক্ষা করতে হয় কারা কর্তৃপক্ষকে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৪ সালের ২৮ জুন একই এলাকার সাবেক ইউপি মেম্বার মো. মনোয়ার হোসেন খুন হন। ওই ঘটনায় তার চাচাতো ভাই মো. অহিমউদ্দিন বাদী হয়ে ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার এজাহারে মোকিম ও ঝড়ুর নাম আসে। পরে ২০০৮ সালের ১৭ এপ্রিল এ মামলার বিচারে তিন জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ, দুই জনকে যাবজ্জীবন ও অপর আসামিদের খালাস দেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-২। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন—একই ইউনিয়নের তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, মোকিম ও ঝড়ু।

বিচারিক আদালতের রায়ের পর নিয়ম অনুসারে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য মামলাটি হাইকোর্টে আসে। মামলার ডেথ রেফারেন্স নম্বর ছিল ৩৯/২০০৮। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট মোকিম ও ঝড়ুর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে ২০১৩ সালের ৭ জুলাই ও ৮ জুলাই মামলার রায় ঘোষণা করেন। বাকি আসামিদের খালাস দেন।

পরে মোকিম আপিল বিভাগে আপিল দায়ের করেন। এরপর কেটে গেছে আট বছর। দীর্ঘ সময় পর সম্প্রতি মামলাটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় উঠেছে। মামলাটি শুনানির জন্য তালিকায় ওঠার পর দরিদ্র মোকিমের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, আপিল নিষ্পত্তির আগেই ২০১৭ সালে মোকিমের ফাঁসি কার্যকর করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এমনকি অপর আসামি ঝড়ুর মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, বুধবার ‘আপিল নিস্পত্তির আগেই যশোর কারাগারে ২০১৭ সালে দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর হয়েছে’-এমন খবরে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারসহ সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

এক-তৃতীয়াংশ ইহুদি-আমেরিকান কিশোর হামাসের প্রতি সহানুভূতিশীল

দখিনের সময় ডেস্ক: এক-তৃতীয়াংশের বেশি আমেরিকান-ইহুদি কিশোর (১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী) 'আমি হামাসের সাথে সহানুভূতিসম্পন্ন'- এমন বক্তব্যের সাথে একমত। ইসরাইলের একটি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে...

প্রতিদিন কলা খাওয়ার উপকার

দখিনের সময় ডেস্ক: প্রতিদিন কলা খেলে মেলে অনেক উপকার। কলায় থাকে প্রয়োজনীয় অনেক ভিটামিন। যে কারণে চিকিৎসকেরা নিয়মিত কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন। প্রতিদিন অন্তত দুটি...

মোহিনীর প্রেমের এআর রহমানের বিচ্ছেদ, যা বলছেন পুত্র

দখিনের সময় ডেস্ক: ব্যক্তিজীবন নিয়ে সংবাদের শিরোনামে এআর রহমান। সায়রা বানুর সঙ্গে দীর্ঘ ২৯ বছরের দাম্পত্যের অবসান। বুধবার রাতে রহমানের স্ত্রী সায়রার আইনজীবী এই খবর...

স্মার্টফোনে ইন্টারনেট চলে যাচ্ছে? জেনে নিন গতি বাড়ানোর কৌশল!

দখিনের সময় ডেস্ক: অনেকেই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় হঠাৎ করেই দেখেন, নেটওয়ার্ক চলে গেছে। আশেপাশের অন্যরা নির্বিঘ্নে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারলেও আপনার ফোনেই সমস্যা...

Recent Comments