দখিনের সময় ডেস্ক:
বরিশাল জেলার আছপিয়ার ঘটনার মতোই। সাধারণ নারী কোটায় মেধা তালিকায় প্রথম হয়েও জমি না থাকায় এবার পুলিশে চাকুরি পাচ্ছেন না খুলনার মিম আক্তার। শনিবার(১১ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, পুলিশ ভেরিফিকেশনে স্থায়ী ঠিকানা না থাকায় চাকরিটি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এমন খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েছে মিমের ভূমিহীন পরিবার।
মিম আক্তার খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার ৩ নম্বর আবাসিক এলাকার ১ নম্বর রোডে ডাক্তার বাবর আলীর বাড়ীর ভাড়াটিয়া বাসিন্দা। বাবা মো. রবিউল ইসলাম খুলনার বয়রা ক্রস রোডে ছোট্ট একটি ভাড়াটে দোকান নিয়ে লেপতোশকের ব্যবসা করেন। দোকানটির নাম বেডিং হাউজ।
খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভির আহম্মেদ শনিবার (১১ ডিসেম্বর) মিম আক্তারকে জানান, ‘তোমার সব ঠিক আছে। তবে স্থায়ী ঠিকানা না থাকায় তোমার চাকরিটা আমরা দিতে পারছি না।’ উল্লেখ্য, মিমের জন্ম খুলনায়। জন্ম সনদ খুলনা সিটি কর্পোরেশনের।’
খুলনা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর আহম্মেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘মেয়েটা সবদিক দিয়েই পারফেক্ট। মেধা তালিকায় প্রথম হয়েছে। তবুও পুলিশের রুলসের কারণে আমরা তাকে নিতে পারছি না। ঘটনাটি বরিশাল জেলার আছপিয়ার ঘটনার মতোই। আমরা তাকে নিতে চাই তবে নিয়মের কারণে আটকে গেছি। তাকে নিয়োগ হতে হলে জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। জন্ম এখানে হলে বা জন্ম সনদ এখানে থাকলেই হবে না। তার স্থায়ী ঠিকানা লাগবে। সেটি মিমের হচ্ছে না। বাগেরহাটে তার চাচা, বাবা ও মামাদের কিছুটা জমি রয়েছে। সে যদি বাগেরহাট জেলা থেকে আবেদন করতো তবে সেটি ঠিক ছিল।’