দখিনের সময় ডেস্ক:
পরিবেশ-জলবায়ু পরিবর্তন মানুষকে অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। আর তাই নানাভাবে চেষ্টা করছে এর থেকে পরিত্রাণ পেতে। তবে মানব মূত্রকে মানবকল্যাণে কাজে লাগাবার ধারণাটি নতুন নয়। আমাদের দেশেও অনেক মেধাবী বিজ্ঞানী-প্রযুক্তিবিদ আছেন।
এঁদের মধ্যে একদল এ নিয়ে বহু আগেই বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে বিশেষ
করে উল্লেখ করা যেতে পারে, কুমিল্লার বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি মল থেকে মূত্রকে আলাদা করে বিশেষ ধরনের শৌচাগার উদ্ভাবন করেছে। পরে সেই মল বা মূত্রকে
বিশেষভাবে প্রক্রিয়াজাত করে কৃষিক্ষেত্রে সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখকরা বাহুল্য হবে না, প্রাচীন রোম সাম্রাজ্যের বহু নগরে লন্ড্রিগুলোতে বস্ত্র, কাপড়, উল, ইত্যাদি পরিষ্কারের জন্য ডিটারজেন্ট অর্থাৎ পরিষ্কারক হিসাবে মানুষের মূত্র ব্যবহার করা হতো এবং তা ক্রয়-বিক্রয় হতো।
আর সে কারণেই তখনকার রাজ্য প্রশাসন মূল্যবান পণ্য জ্ঞানে মূত্র ক্রয়-বিক্রয়ের উপর কর আরোপ করেছিল। বর্তমানে বিজ্ঞানীরা এই মানব সৃষ্ট হালকা সোনালি রঙের তরলটি মানবকল্যাণে কাজে লাগানোর জন্য যেভাবে উঠেপড়ে লেগেছেন, তাতে যে অচিরেই এর উপর আবারো যে রাজস্ব আরোপ হবে, সে আশঙ্কা করা মোটেই অমূলক নয়। আর ইতিমধ্যেই গবেষক-বিজ্ঞানীরা জোর দিয়ে বলতে শুরু করেছেন, মানব মূত্র বর্জ্য নয়, সম্পদ। (সমাপ্ত)