পিরোজপুরে ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসাছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা

দখিনের সময় ডেস্ক:

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসাছাত্রী ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে স্বজনরা অসুস্থ অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেসে ভর্তি করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেয়েটির উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ শুক্রবার সকালে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতেলে পাঠিয়েছে।

ধর্ষনের অভিযোগ ওঠেছে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত নূর নবী (২৫) নামে এক ফায়ারম্যানের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত নূর নবী উপজেলার শাখারীকাঠি গ্রামের বাসিন্দা।

মাদ্রাসাছাত্রী জানান, দেড় বছর আগে ফেসবুকে ফায়ারম্যান নূর নবীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সম্প্রতি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নূর নবী তাকে বরিশালের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সে অন্তসত্তা হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় একাধিকবার মামলা করার জন্য থানায় গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। তাই লোক লজ্জায় ও অভিমানে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘুমের ঔষধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় সে।

উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন জাহান জানান, ‌কয়েকদিন আগে ওই ছাত্রী আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। নোটিশ করলে নূর নবীর বাবা সামসুল হক বেশ কিছু লোক নিয়ে তার কাছে আসে এবং ওই মেয়েটিকে কিছু জরিমানা দিয়ে তাড়িয়ে দিতে চায়। তাদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে বিয়ে করার জন্য তাগিদ দেই। এরপর তারা ১৫ দিনের সময় নিয়ে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে মেয়েটিকে থানায় মামলা করার পরামর্শ দিলে মেয়েটি থানায় যায়, কিন্তু থানায় মামলা নেয়নি।

ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন জাহান জানান আরও বলেন, আমি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম বাদলকে মুঠফোনে মেয়েটিকে আইনি সহায়তা দিতে বলেছি। এমনকি ১৫ আগষ্ট সরাসরিও বলেছি কিন্তু তিনি মামলা নেয়নি। তাই অভিমানে বৃহস্পতিবার(১৮ আগস্ট) দুপুরে মেয়েটি আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল মামলা নেওয়ার বিষয়ে বলেন, ঘটনাস্থল বরিশাল শহরে হওয়ায় ভিকটিমকে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।