দখিনের সময় ডেক্স ॥
বরিশালের একটি নার্সিং কলেজের হোস্টেলে ‘ভূত-আতঙ্কে’ অজ্ঞান হয়ে পড়া ৪ ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাদের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (শেবাচিম) মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ওই ছাত্রীরা নগরীর রূপাতলীর জমজম নার্সিং কলেজের হোস্টেলে থাকেন। এরা হলেনসেতু দাস (২১), জামিলা আক্তার (১৮), বৈশাখী আক্তার (১৮) ও তামান্না সুলতানা রাবেয়া (১৮)। এদের মধ্যে সেতু ও জামিলা দ্বিতীয় বর্ষের ও বৈশাখী ও তামান্না প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
ওই নার্সিং কলেজের কয়েক শিক্ষার্থীর দাবি, নার্সিং ও ম্যাটস অনুষদের ছাত্রীদের হোস্টেলে থাকা বাধ্যতামূলক করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ইনস্টিটিউটের পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলার হোস্টেলে থাকেন তারা। গত কিছুদিন ধরে আবাসিক ছাত্রীদের বেশ কয়েকজন রাতের বেলায় হোস্টেলের ছাদে হাঁটাহাঁটির শব্দ শুনতে পাচ্ছিলেন। এই ঘটনা সকল ছাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা বিষয়টিকে ভূতের কা- বলে বিশ্বাস করে।
গত শুক্রবার রাতেও এমন ঘটনার পর পুরো হোস্টেলে ভূতের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ওই ৪ ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়লে বয়েজ হোস্টেলে থাকা ছাত্ররা তাদের উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে ইন্সটিটিউটের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুন্সি এনামের দাবি, ‘আবাসিক ছাত্রীদের ভীতি দূর করতে কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো।’ ছাত্রীদের দাবির প্রেক্ষিতে হুজুর এনে মিলাদ-দোয়ার আয়োজন করার পরও তাদের ভয় কাটেনি বলেও জানান তিনি। এদিকে ঘটনার সংবাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কোতোয়ালী থানার পুলিশ। এসআই রিয়াজুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ‘কেন এমনটা ঘটেছে, তা জানতে তদন্ত চলছে।’ এদিকে হোস্টেলের ৪ ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পর আবাসিক ৬০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৫ জনই হোস্টেলে ছেড়ে বাড়ি চলে গেছেন বলে জানা গেছে।