Home নির্বাচিত খবর চোখ ওঠা রোগে করণীয়, সতর্কতা জরুরী

চোখ ওঠা রোগে করণীয়, সতর্কতা জরুরী

দখিনের সময় ডেস্ক:

চোখে নানা ধরনের রোগ হয়। এর মধ্যে চোখ ওঠা একটি। সম্প্রতি চোখ ওঠা রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। ইদানীং ঢাকা শহরে এ রোগের প্রাদুর্ভাব ক্রমে বেড়ে যাচ্ছে। এ রোগে অনেকের একসঙ্গে চোখ লাল হতে দেখা যায়। পরিবারের একজনের চোখ লাল এবং কয়দিন পর দ্বিতীয় বা তৃতীয় জনের চোখ লাল। আবার স্কুলের কারও একজনের হলো। তার সঙ্গে বা পর পরই অন্য জনের চোখ লাল।

সাধারণত ঠাণ্ডাজনিত ভাইরাসের কারণে চোখ ওঠার সমস্যাটি দেখা যায়। ভাইরাসের মধ্যে এডিনো ভাইরাস সবচেয়ে ছোঁয়াচে। এটি এক ধরনের রেসপাইরেটরি ভাইরাস। ফলে সাধারণ সর্দি-জ্বরে এ রোগের প্রকোপ বেশি পরিলক্ষিত হয়। বছরের কোনো কোনো সময় এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়।

উপসর্গ : প্রায়ই দুচোখ লাল হয়। তবে এক চোখেও হতে পারে। চোখে পুঁজের মতো জমা হয়। ঘুম থেকে উঠলে অনেক সময় চোখের পাতা লেগে থাকতে দেখা যায়। চোখ দিয়ে পানি ঝরে। চোখ জ্বালাপোড়া করে। চোখে খচখচ ভাব; হালকা ব্যথা ও ফটোফোবিয়া বা রোদে তাকাতে অসুবিধা হয়ে থাকে।

চোখ ওঠার পর সতর্কতা :

চোখে পিচুটি জমলে হালকা নরম পরিষ্কার কোনো কাপড় দিয়ে বা পানির ঝাপটা দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা যেতে পারে। তবে কোনোভাবেই চোখ রগড়ানো যাবে না। কালো চশমা রোদ বা আলোয় কিছুটা স্বস্তিদায়ক। কোনো কোনো চোখ ওঠা বেশ ছোঁয়াচে হয়। বিশেষ করে এডিনো ভাইরাসজনিত চোখ ওঠা। এক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন প্রয়োজন। যেমন- চোখে হাত দেওয়া যাবে না। একজনের ব্যবহার করা রুমাল, গামছা বা কাপড়-চোপড় অন্য কেউ ব্যবহার করা যাবে না। হাত সবসময় সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে। জনসমাগম, অনুষ্ঠান, ক্লাস ইত্যাদি পরিহার করে চলা ভালো। এ সময় অনেক শিশুর ক্লাস পরীক্ষা চলছে। চোখ ওঠা নিয়ে ক্লাসে উপস্থিত না হওয়া ভালো। কারণ রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরীক্ষা থাকলে উল্লিখিত নিয়ম মেনে চলতে হবে। অবশ্যই কালো চশমা পরে থাকতে হবে। মেলামেশা করা যাবে না। খাতা, পেনসিল শেয়ার করা যাবে না। সংস্পর্শ যত এড়িয়ে চলা যাবে, ততই নিরাপদ। সুযোগ থাকলে সবার থেকে আলাদা বা দূরত্বে বসে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যেতে পারে। এ অবস্থায় কোনোভাবেই কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করা যাবে না।

চিকিৎসা :

চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস সাধারণত ১ থেকে ৩ সপ্তাহ সময়ে সেরে যায়। ঠাণ্ডা বা সর্দির মতো উপসর্গ থাকলে কেবল অ্যান্টিহিস্টামিন সেবনই যথেষ্ট। বাজারে প্রচলিত কোনো একটি অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ডোজ মেনে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া চোখে ওষুধ ব্যবহার না করাই উত্তম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

গাড়িতে আসার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিলেন রনোভাই

প্রায় দুই দশক আগে এসটিভি ইউএস নামে একটি টেলিভিশন আমেরিকা থেকে সম্প্রচারিত হতো। কিন্তু কার্যক্রম পরিচালিত হতো বাংলাদেশ থেকে। এতে মুখোমুখি নামে একটি টকশো...

মাছ ধরার সময় শ্বাসনালিতে বাইন মাছ

দখিনের সময় ডেস্ক: ঝুঁকিপূর্ণ দেখে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় শ্বাসনালি কেটে বাইন মাছটি বের করা হয়। এরপর রোগী সুস্থ হলে ৭-৮ দিন পর তার শ্বাসনালিতে বসানো...

অধ্যক্ষের রুমে ঢুকে শিক্ষক পেটানো সেই ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার

দখিনের সময় ডেস্ক: কলেজে অধ্যক্ষের রুমে ঢুকে শিক্ষক পেটানো ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। শিক্ষককে পেটানো বহিষ্কৃত এ ছাত্রলীগ নেতা হলেন মো. সাফাতুন নুর...

দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের শত শত বাড়ি, কোনটির দাম তিনশ কোটি টাকারও বেশি

দখিনের সময় ডেস্ক: গত কয়েক বছরে দুবাইয়ের বিলাসবহুল এলাকা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশিদের আবাসন সম্পদ কেনার বিষয়টি সেখানকার কমিউনিটিতে অনেকটা ‘ওপেন সিক্রেট’। মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশ...

Recent Comments