বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) রাতে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিবিজনেস বিভাগ ও বাংলাদেশ এগ্রিবিজনেস সোসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজনে ‘করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী সময়ে এগ্রিবিজনেস ও তথ্যপ্রযুক্তি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেশনে এসব কথা বলেন বক্তারা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এগ্রিবিজনেস সোসাইটির সদস্য মো. আসিফ নেওয়াজ এবং ফারজানা তাসনিম সিমরান।
আলোচনায় প্যানেলিস্ট হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বঙ্গ মিলারস লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিইও) মোহাম্মদ শাহান শাহ্ আজাদ, ইউএনডিপির মাইক্রো মার্চেন্টস ইনেসিয়েটিভের প্রজেক্ট লিড সারা জীতা, যমুনা টেলিভিশনের বিজনেস এডিটর সাজ্জাদ আলম খান (তপু) ও বণিক বার্তার ডেপুটি সিটি এডিটর ও বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন।
এছাড়া সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা আলোচনায় অংশ নেন।
কৃষি প্রক্রিয়াজাত ও কৃষি ব্যবসা খাতের গুরুত্ব উপস্থাপন করে মোহাম্মদ শাহান শাহ আজাদ বলেন, কৃষি খাতকে শিল্পায়নের সঙ্গে দ্রুত যুক্ত করতে হবে। গ্রামের মানুষের আরো তথ্যপ্রযুক্তি সেবা পৌঁছাতে হবে। পণ্য বিপণনের জন্য কৃষক ও খামারিদেরকে অনলাইন বিপণন কৌশলকে কাজে লাগাতে হবে।
ইউএনডিপির প্রজেক্ট লিড ও বাংলাদেশ ই-ক্যাবের নির্বাহী সদস্য সারা জীতা করোনাকালীন ও বন্যা পরিস্থিতিতে গ্রামীণ কৃষিভিত্তিক প্রযুক্তি সেবা ও ডিজিটালাইজেশন নিশ্চিত করার করণীয় ও বেশ কিছু উদ্যোগের বিষয়ে আলোচনা করেন। কৃষি বাজার সম্প্রসারণ করতে অনলাইন মার্কেটপ্লেস ছাড়াও অনলাইনভিত্তিক আরো কিছু উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন।
অর্থনীতির উন্নয়নে গ্রামীণ অর্থনীতির গুরুত্ব উপস্থান করে যমুনা টিভির বিজনেস এডিটর সাজ্জাদুল আলম খান তপু বলেন, করোনাকালীন এগ্রিবিজনেস চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতে এগ্রিবিজনেস সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে দেশের অর্থনীতি আরো গতিশীল হবে। তবে যেকোন ব্যবসার ক্ষেত্রে মান খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই আমাদের ব্যবসা ও পণ্যের মান নিয়ে আরো কাজ করতে হবে।