দখিনের সময় ডেক্স:
বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনার উপসর্গ নিয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুজন মারা গেছেন আজ বুধবার এবং বাকি তিনজনের মৃত্যু হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ও বিকেলে। এ নিয়ে এই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মোট ৫০৭ জনের মৃত্যু হলো। এর মধ্যে ১৪৯ জন করোনা পজিটিভ ছিলেন।
এইদিকে পরিচালকের কার্যালয় সূত্র জানায়, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে শয্যাসংখ্যা ১৫০। গত ২৪ ঘণ্টায় এই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে নতুন ২৬ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে একজন করোনা পজিটিভ। এই সময়ে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭ জন। যাঁদের মধ্যে দুজন করোনা পজিটিভ ছিলেন। আজ দুপুর পর্যন্ত করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন ১১৯ জন রোগী। এর মধ্যে ৩২ জনের করোনা পজিটিভ।
দুই সপ্তাহ ধরে বরিশাল বিভাগে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় এই সরকারি হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের শয্যার সংকট দেখা দিতে পারে আশঙ্কায় সম্প্রতি হাসপাতালটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আবদুর রাজ্জাক বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের কাছে বিকল্প আরেকটি করোনা হাসপাতাল প্রস্তুতের জন্য আবেদন করেছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বুধবার পর্যন্ত এই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৫৩৭ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫০৭ জনের। যার মধ্যে ১৪৯ জন করোনা পজিটিভ ছিলেন।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই এই বিভাগে করোনার সংক্রমণ ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে। ১৩ থেকে ১৯ মার্চ এই সাত দিনে বিভাগের ছয় জেলায় করোনায় আক্রান্ত হন মাত্র ৭৭ জন। কিন্তু ২০ থেকে ২৬ মার্চ পরের সাত দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২২৮, অর্থাৎ প্রায় তিন গুণ। ১৬ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল এই ১৯ দিনে বিভাগে আক্রান্ত হন ১ হাজার ৯৯১ জন। আর ৪ থেকে ৭ এপ্রিল এই চার দিনে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪২৪ জনের।