Home বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গেমিং আফ্রিকা

গেমিং আফ্রিকা

দখিনের সময় ডেস্ক:
স্মার্টফোনের দ্রুত বিকাশের ফলে আফ্রিকায় গড়ে উঠেছে বেশ কিছু গেমিং ইন্ডাস্ট্রি। এসব গেমিং ইন্ডাস্ট্রি শুধু গেম ডেভেলপ করে তা নয়, সেসব গেমে যুক্ত করে আফ্রিকার ভাষা, অক্ষর, চরিত্র এমনকি চারপাশের স্থানও। কিছুদিন আগেও ইন্টারনেট ক্যাফে, সাইবার ক্যাফে কিংবা কম্পিউটার গেম ছিল আফ্রিকার সচ্ছল তরুণ গেমারদের সময় কাটানোর বড় মাধ্যম। সে সময় তারা বিদেশি বিভিন্ন চরিত্র বা ইউরোপীয় স্থাপনার গেম খেলেই রোমাঞ্চ অনুভব করত। তবে স্মার্টফোনের দ্রুত বিকাশের ফলে আফ্রিকায় গড়ে উঠেছে বেশ কিছু গেমিং ইন্ডাস্ট্রি।
মাল্টি ফাংশনাল গেমিং কনসোলগুলোর জনপ্রিয়তা গেমের বাজার সম্প্রসারণে এখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলছে। গত পাঁচ বছরে যার প্রভাবে গেমারদের সংখ্যা বেড়েছে নাটকীয়ভাবে। আফ্রিকায় তরুণের মধ্যে গেমারদের সংখ্যাও ব্যাপকহারে বেড়ে চলছে। জাতিসংঘের মতে, আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে আফ্রিকার বেশ কিছু দেশে এই সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে। বর্তমানে ২৭ কোটি ২০ লাখ সাব সাহারান আফ্রিকানের হাতে মোবাইল ফোন, আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ এই সংখ্যা ৪৭ কোটি ৫০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে, যার এক-চতুর্থাংশ যুক্ত হবে ফোরজি নেটওয়ার্কের সঙ্গে। উত্তর আফ্রিকায়ও সেল ফোনের মালিক এখন ২৯ কোটি মানুষ। এই বৃহৎ জনসংখ্যা গেমিং ইন্ডাস্ট্রিকে পথ দেখিয়েছে আফ্রিকার মানুষের জন্য কাস্টমাইজড গেম তৈরিতে।
কেনিয়ার স্টুডিও ‘ব্ল্যাক ডিভিশন গেমস’ আফ্রিকার থিমযুক্ত ফ্ল্যাপি বার্ড স্টাইলের একটি গেম বাজারে নিয়ে আসে, যেটি স্থানীয়ভাবে ‘কুকুসামা’ নামে পরিচিত। আফ্রিকার মানুষের মধ্যে এটি বেশ হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল। তবে ব্ল্যাক ডিভিশন আলোচনায় আসে ‘নাইরোবি এক্স’ নামে থ্রিডি গেম বাজারে এনে। নাইরোবি এক্স একসময় বেশ আলোচিত ছিল মহাদেশজুড়ে। ব্ল্যাক ডিভিশন গেমসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ড্রু কাগিয়ার মতে, আফ্রিকার বিভিন্ন শহরকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে এবং স্থানীয় বিভিন্ন কাহিনিনির্ভর গেমগুলো দ্রুত গেমিং বাজারে খুব ভালো অবস্থান নিতে পারে।
কেনিয়ার সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট গেমিং কম্পানি ‘উসিকু গেমস আফ্রিকা’ ব্লকচেইন গেমের ক্ষেত্রে গেমারদের আয়ের উৎস হিসেবে কাজ করছে। উসিকু গেমসের প্রতিষ্ঠাতা জে শাপিরো বলেন, ‘এখন গেমাররা গেম খেলার পাশাপাশি আয়ের উৎসও খুঁজতে থাকে। গেমিং ইন্ডাস্ট্রিগুলো ধীরে ধীরে গেমারদের সেই ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।’ তবে উসিকু গেমস আয়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমাগত গেমিং রোমাঞ্চের ব্যবস্থা করলেও এসব আয় সঙ্গে সঙ্গে উত্তোলন করার ব্যবস্থা এখনো করতে পারেনি।
আফ্রিকার তরুণদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়ের অভ্যাস চালু করার জন্য এই ব্যবস্থা। গেম খেলে তাদের উপার্জন একটি নির্দিষ্ট সময় পর উত্তোলন করা যায়, যা গেমিংকে বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

অবশেষে মুখ খুললেন জেনারেল মইন ইউ আহমেদ

দখিনের সময় ডেস্ক: বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে এবার মুখ খুললেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদ। তদন্তে সরকারের সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করলেন সাবেক এই সেনাপ্রধান।...

চাপে পড়ে রাধা-কৃষ্ণের পোস্ট মুছে ফেললেন বলিউড অভিনেত্রী

দখিনের সময় ডেস্ক: বলিউড অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার প্রোফাইলে ‘রাধা’-সাজের ছবিতে ভরপুর ছিল। এই কাজটিকেই জীবনের অন্যতম সেরা কাজ বলে অভিহিত করেছিলেন...

আওয়ামী শিবেরে হতাশা, নেতা-কর্মীরা দিশেহারা

দখিনের সময় ডেস্ক: আওয়ামী লীগ গত ২৩শে জুন ঘটা করে ৭৫ বছরপূর্তি পালন করেছিল। সেদিন ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশে নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল কানায় কানায়...

শিরিনের বিরুদ্ধে এবার বাড়ি দখলের অভিযোগ

দখিনের সময় ডেস্ক: সরকারি পুকুর দখলের ঘটনায় দলের পদ হারানোর পর ‍এবার অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিনের বিরুদ্ধে তিনতলা বাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ২ কোটি...

Recent Comments