দখিনের সময় ডেক্স ॥
বরগুনায় মহামারী আকার ধারণ করেছে ডায়রিয়া। জেলায় পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। মারা গেছেন আটজন। দেখা দিয়েছে স্যালাইন সংকট। পিরোজপুরেও বেড়েছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত’র সংখ্যা।
হাসপাতালে শয্যা সংকটে অনেক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন মেঝেতেই। হাসপাতালে রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। বরগুনা সদর হাসপাতালসহ উপজেলার সব হাসপাতালের আনাচে কানাচে ভরে গেছে ডায়রিয়া রোগীতে। শয্যা সংকটে রোগীদের হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। নানামুখী সংকটের কারণে স্বাস্থ্যকেন্দ্রেগুলোতে সেবা নিতে এসে ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগী ও স্বজনরা। নেই প্রয়োজনীয় ওষুধ। দেখা মিলছে না চিকিৎসকদের।
করোনার কারণে হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবলের ঘাটতি আছে বলে জানালেন বরগুনা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সোহরাব উদ্দীন।
সম্প্রতি নদ-নদীর পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানান
চিকিৎসক ও গবেষকরা। মানুষকে ডায়রিয়ার বিষয়ে সচেতন করতে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
পিরোজপুরেও বেড়েছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত’র সংখ্যা। জেলার ৬টি হাসপাতালে কোনো শয্যা খালি নেই। নতুন রোগীদের হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর চাপ থাকলেও পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান পিরোজপুর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ হাসনাত ইউসুফ জাকী। জেলায় চলতি বছরে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজারের বেশি মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।