দখিনের সময় ডেস্ক:
রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন এক নারীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হাসপাতালে দায়িত্বরত আনসারদের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ খবরে চিকিৎসাধীন ওই নারী মারা গেছেন। গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হৃদরোগ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতেই রাজধানীর শের-ই বাংলা নগর থানায় অভিযোগ করেছেন মারা যাওয়া রোগীর একমাত্র মেয়ে সেলিনা আক্তার। জানা যায়, মারামারির ঘটনায় আহত হয়েছেন রোগীর স্বামী, মেয়ে, ২ ছেলেসহ বেশ কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন। সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছেন পরিবারের মেঝ ছেলে তানজিল। তিনি বর্তমানে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভুক্তভোগী তানজিলের অভিযোগ, তিন দফা টাকা দিয়ে প্রবেশের পরেও চতুর্থ দফায় প্রবেশের সময় টাকা না দিলে তাদের বাধা দেয় দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা। জোর করে ঢুকতে চাইলে মারধর করা হয়। এ বিষয়ে জানতে জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক মীর জামাল উদ্দীনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়াও কল রিসিভ করেননি। তবে থানার ডিউটি অফিসার অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। নিহত রোগীর স্বামী সেলিম রেজা বলেন, ‘কয়েক দিন আগে হৃদ্রোগ হাসপাতালে ভর্তি হয় আমার স্ত্রী। পরে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।
এ সময় তার রক্তের দরকার হলে, সেই রক্ত নিয়ে তানজিনা আক্তারের কাছে যেতে চায় আমার ছেলে। তখন তার কাছে টাকা চান আনসার সদস্যরা। কিন্তু আগেও আনসার সদস্যদের টাকা দিয়ে ভেতরে ঢুকতে হয়েছে, তাই এবার টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় একপর্যায়ে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে সেটা মারামারিতে গড়ায়।’ ’আনসার সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে কেউ কথা বলতে রাজি হননি। তবে এক আনসার সদস্য দাবি করেন, তাদের একজন সদস্যের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে নিহত রোগীর ছেলে। এই সূত্র ধরেই মারামারির সূত্রপাত।