দখিনের সময় ডেক্স:
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে ৫ মে পর্যন্ত বিধিনিষেধ বাড়ানো হয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে লকডাউন শিথিল করায় গার্মেন্টস, শপিংমল, কাঁচাবাজার, অফিস-আদালত খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে গণপরিবহন চালুর দাবিতেস রোববার সারা দেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গণপরিবহন চালুর দাবিতে বিক্ষোভের ঘোষণা দেন তারা। এ ছাড়া আগামী মঙ্গলবার সারা দেশে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি করারও ঘোষণা দেন পরিবহনশ্রমিকেরা।
পরিবহনশ্রমিকেরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে গণপরিবহন চালুর দাবি জানান। তারা বলেন, সবকিছু চালু রেখে গণপরিবহন বন্ধ রাখায় ৫০ শতাংশ পরিবহন শ্রমিক কর্মহীন হয়েছেন। অর্ধাহারে-অনাহারে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, ‘দেশের সড়কপথের পরিবহনগুলোতে প্রতিদিন ৫০ লাখ পরিবহন শ্রমিক কাজ করেন। স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে লকডাউন শিথিল করায় গার্মেন্টস, শপিং মল, কাঁচাবাজার, অফিস আদালত খুলে দেওয়া হয়েছে। কেবল গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। করোনায় মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। আমরা লকডাউনের বিরোধিতা করছি না। কথা ছিল, লকডাউনের সময় মানুষের চলাচল, শ্রমঘন শিল্প, হাটবাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোর্ট সব বন্ধ থাকবে।’
বর্তমানে বিকল্প যানবাহনে বাড়তি ভাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষ চলাচল করছে বলে জানান ওসমান আলী। তিনি বলেন, ‘এতে যেমন সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে, তেমনি হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।’ গণপরিবহন চালুর পাশাপাশি শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্যসহায়তা প্রদান এবং শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকায় চাল বিক্রির ব্যবস্থা করার দাবিও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে সংগঠনটির সহসভাপতি সাদিকুর রহমান বলেন, সড়ক পরিবহনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন সংগঠনটির নেতারা। ‘আমরা বলেছি শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে যেকোনো শাস্তি আমরা মেনে নেব-এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ।’