দখিনের সময় ডেস্ক:
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় নিখোঁজের চার দিন পর প্রেমিকার বাড়ির সামনে থেকে রাজিব শেখ (১৯) নামে এক তরুণের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে কচুয়া উপজেলার গিমটাকাঠি গ্রামের আয়না বেগমের বাড়ির সামনের একটি গাছে মরদেহটি পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কচুয়া থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহত রাজু শেখ বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের সাহেবার গ্রামের সাইফুল শেখের ছেলে।
নিহত রাজুর চাচা শেখ আছাবুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, রাজুর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কচুয়ার আয়না বেগমের মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পাঁচ মাস আগে ওই মেয়ে আমাদের বাড়ি চলে এসেছিল। তার পরিবারকে ডেকে মেয়ে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু শুক্রবার বাড়ি থেকে বের হয়ে রাজু আর ফেরেনি। পরে সোমবার বেলা ১১টার দিকে কচুয়া থানা পুলিশ আমাদের ফোন করে জানালে আমরা মরদেহ গ্রহণ করি। আমার ভাইয়ের ছেলে রাজুকে ওরা মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমরা এর বিচার চাই।
কচুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আজাদ বালি গণমাধ্যমকে বলেন, ছেলেটির সঙ্গে আমার ওয়ার্ডের এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি কয়েকদিন আগে শুনেছি। মেয়ের বয়স কম হওয়ায় পরিবার প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। আজ সকালে খবর পেলাম মেয়ের বাড়ির সামনে ওই ছেলের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে। তবে এ বিষয়ে মেয়ের বাড়ির পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কচুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোহসিন গণমাধ্যমকে বলেন, নিহত রাজুর সঙ্গে আয়না বেগমের মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ধারণা করছি প্রেমিকার সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে রাজু। খবর পেয়ে আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
Post Views:
70