• ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নবজাগরণ ফাউন্ডেশন কর্তৃক “টেকসই কৃষি প্রকল্প-২০২১” আয়োজনের কৃষি পণ্য বিতরণ।

দখিনের সময়
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১, ১৫:৩৭ অপরাহ্ণ
নবজাগরণ ফাউন্ডেশন কর্তৃক “টেকসই কৃষি প্রকল্প-২০২১” আয়োজনের কৃষি পণ্য বিতরণ।
সংবাদটি শেয়ার করুন...

দখিনের সময় ডেস্ক :

গ্রামীণ অর্থনীতির স্থবিরতা পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়াসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্ববৃহৎ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নবজাগরণ ফাউন্ডেশন কর্তৃক দরিদ্র্য ও অসহায় কৃষক সমাজের জন্য “টেকসই কৃষি প্রকল্প-২০২১” শিরোনামে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে ।

প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন কৃষি উপকরণের আবিষ্কার হয়ে থাকে। কিন্তু সেগুলোর সহজলভ্যতার অভাব ও কৃষিপণ্যের দর বৃদ্ধির সাথে কৃষকের দুর্দশা বৃদ্ধি পায়। এমতাবস্থায় দরিদ্র কৃষক সময়োপযোগী কৃষিপণ্যের যোগান দিতে পারে না। তবুও তাদের জীবন সংগ্রামে টিকে থাকার জন্য ফসল ফলাতে হয় কিন্তু আশানুরূপ ফসল পায় না। নবজাগরণ ফাউন্ডেশন এসকল হতদরিদ্র কৃষকের জীবন সংগ্রামে টিকে থাকার লড়াইকে সহজ ও সাফল্যমণ্ডিত করতে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

কৃষিতে হাসবে দেশ, গড়বো সোনার বাংলাদেশ প্রতিপাদ্যে নবজাগরণ ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত “টেকসই কৃষি প্রকল্প ২০২১” আয়োজনের অংশ হিসেবে ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ তারিখে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী ইউনিয়নের পূর্ব ভাটদী পূর্ব পাড়ার কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

এই এলাকার ২০ জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে ৪ কেজি করে সার বিতরণ করা হয়েছে।

আয়োজনে স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে নবজাগরণের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করেছেন হাসিব মিয়া।

‘টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প ২০২১’ আয়োজন এর আহবায়ক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘নবজাগরণ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীদের নিরলস পরিশ্রম এবং স্থানীয়দের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতার ফলেই আমাদের এই প্রোগ্রামটা সফল হয়েছে, আমি সকলের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ’।

পূর্বভাটদী গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ মিয়া বলেন, ‘নবজাগরণ ফাউন্ডেশন তাদের পাশে দাঁড়ানোতে তারা আনন্দিত’।

নবজাগরণ ফাউণ্ডেশন এর সাধারণ সম্পাদক শামীমা আফরোজ বলেন, ‘কৃষি অর্থনীতির প্রাণ এবং কৃষকেরা অর্থনীতির চালিকাশক্তি। সময় এসেছে কৃষকদের জীবনের টানাপোড়ন চুকিয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার।’

এই আয়োজন সম্পর্কে নবজাগরণ ফাউন্ডেশন এর সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘ এই আয়োজনেরনের মাধ্যমে প্রান্তিক কৃষকদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি, ভবিষ্যতে তাদের নিয়ে আমাদের আরো বড় ধরনের পরিকল্পনা আছে’।

কৃষকদের মুখে হাসি ফুটানোর এ আয়োজনে পর্যায়ক্রমে যুক্ত হবে দেশের ৩ টি জেলার অন্তর্ভুক্ত ৭ টি উপজেলার প্রান্তিক কৃষকসমাজ।