দখিনের সময় ডেক্স:
অভিনেত্রী রোমানা স্বর্ণা একটি প্রতারক চক্রের হয়ে কাজ করে আসছে দীর্ঘদিন। প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক, পরে হেনস্থার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করা হতো। প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাসায় উলঙ্গ করে ব্ল্যাকমেইল করতো প্রতারক চক্রটি। এ প্রতারণার জন্য বিয়ের নাটক করা হতো। প্রতারনার অংশ হিসেবে এখন পর্যন্ত ২৮ জনের সঙ্গে বিয়ের নাটক করেছেন অভিনেত্রী রোমানা স্বর্ণা।
সূত্রমতে, অভিনয় যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও নায়িকা হবার বিষটিও ছিলো প্রদারনার বাজারে নিজকে দামী করে তোলার একটি কৌশল। এরা প্রথমে ফুসলিয়ে পরে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও বিভিন্ন মালামাল হাতিয়ে নেয়। ফলের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়ায়। অচেতন অচেতন অবস।তায় স্বর্ণার পাশে অর্ধউলঙ্গ করে শুইয়ে ছবি তুলে তা ফেসবুক ও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ওই সম্মানহানি ও ধর্ষণ মামলার ভয় দেখিয়ে ঠাকা হাতিয়ে নিতো প্রতারকচক্র।
রেমানা ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়ে খুলতেন ফেসবুক আইডি। আপলোড করতেন রগরগে ছবি। এরপর প্রবাসীদের টার্গেট করে ফ্রেন্ড বানিয়ে গড়ে তুলতেন প্রেমের সম্পর্ক। হাতিয়ে নিতেন টাকা। প্রবাসী অনেকেই প্রেমের ফাঁদে পড়ে টাকা হারিয়েছেন। কেউ হারিয়েছেন সকলকিছু। আপত্তিজনক অবস্থায় ফেলে নিত্য নতুন প্রতারণার মাধ্যমে এক সৌদি প্রবাসীর কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মডেল ও অভিনেত্রী রোমানা ইসলাম স্বর্ণাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এরপর থেকে বেরিয়ে আসছে নায়িকার ছদ্মাবরলে রোমনা ইসলামের নানান প্রতারণার কাহিনী।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও জোনের উপ পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, ভুক্তভোগী জুয়েল বিদেশ থেকে আসার পর মডেল, অভিনেত্রী রোমানার বাড়িতে যান। সেসময় এই প্রতারকচক্র তাকে আরো প্রতারণা করার জন্য উলঙ্গ করে ছবি তুললো। এরপর তাকে বললো তুমি যদি আরো টাকা না দাও তাহলে এই ছবি ফেসবুক ও ইন্টারনেটে ছেড়ে দিব। সেই ভয়ে ভুক্তভোগী আরো কিছু টাকা দিযৈছেন। এসব অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আশরাফি ইসলাম শেইলী (৬০), নাহিদ হাসান রেমি (৩৬), আন্নাফি (২০), ফারহা আহম্মেদ (৩০) ও অজ্ঞাত এক যুবক (৩৭)।
প্রতারণা মামলায় মডেল ও অভিনেত্রী রোমানা ইসলাম স্বর্ণা (৪০), তার মা ও ছেলের রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে একদিনের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার (১২ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মাহমুদা আক্তারের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিকে একটি সূত্র বলছে, অভিনেত্রী প্রতারক রোমানা ইসলাম রোমানা স্বর্ণাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করে অপরাধী চক্রের বিষয়ে খুব বেশী তথ্য পাবার আশা একরকম দুরাশা। ফলে তার অপরাধের অনেক ঘটনাই থেকে যাবে অজানা। অপর একটি সূত্র বলছে, যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও স্বর্ণাকে সিনেমার নায়িকা বানানোর পিছনেও প্রতারক চক্রের সুদূর প্রসারী কৌশল কাজ করেছে। সূত্রমতে, এরকম প্রতারক একাধিক প্রতারক চক্র সক্রিয় রয়েছে সিনেমা পাড়ায়।